
ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে সহমত মোদি-জিনপিং
বেজিং ও নয়াদিল্লি: ভারত-চিনের সীমান্ত এলাকায় দ্রুত উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের সেনার মধ্যে যে উত্তপ্ত সম্পর্ক চলছে, তা দ্রুত কমিয়ে আনা হবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের সেনাবাহিনীর প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঘটে। সেই থেকে ভারত-চীনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর বিষয়ে সহমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাবাত্রা শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনার ফাঁকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। চিনও একটি সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিনপিং এবং মোদির মধ্যে দুদেশের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে দুজনের মধ্যে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুদেশের নাগরিক, আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তি, সুসম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং বিকাশ বজায় রাখতে অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করে চলতে হবে। এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন শি জিনপিং। সীমান্ত ইস্যুতে দুদেশকেই সার্বিক স্বার্থ বজায় রাখতে হবে। ভারতে তরফে বিদেশ সচিব জানান, মোদি চিনের প্রেসিডেন্টকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুসম্পর্ক অটুট রাখতে অবশ্যই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে মর্যাদা দিতে হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের বলে দেওয়া হবে বলেও দুই রাষ্ট্রনেতা রাজি হয়েছেন। যাতে এনিয়ে দ্রুত উত্তেজনা কমিয়ে আনা যেতে পারে।