ফের সংঘাতে রাজভবন ও বিধানসভা
কলকাতা: ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মল রায়ের শপথগ্রহণ নিয়েও নবান্ন-রাজভবন (Raj Bhavan) সংঘাত অব্যাহত। শনিবার বিধানসভায় ছুটি। তা জানা সত্ত্বেও রাজভবন থেকে এদিন শপথগ্রহণের জন্য ওই বিধায়ককে আসতে বলা হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, শনিবার শপথগ্রহণ সম্ভব নয়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল যা করছেন, তা সংবিধান বা পরিষদীয় রীতিনীতির বিরোধী।তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল পুতুল নাচের পুতুল। তিনি রাজনৈতিক মদতে চলছেন। প্রতি কাজের মধ্যেই পলিটিক্যাল এজেন্ডা পূরণ করতে চাইছেন রাজ্যপাল।পরিষদীয় মন্ত্রীকে না জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট বিধায়ক কে ফোন করছেন যা আইনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ফেরার পর তাকে আবার নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ নিয়ে চিঠি দেব কিনা ঠিক করব।
পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, আমি একাধিকবার রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছি নির্মল রায়ের শপথের জন্য। কিন্তু রাজভবনের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। শুক্রবার বিধায়ককে সরাসরি রাজভবন থেকে শনিবার শপথের জন্য আসতে বলা হয়। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস প্রথা ভেঙে জটিলতা তৈরি করছেন।
এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ নিয়েও যথেষ্ট জলঘোলা হয়। পরবর্তীকালে উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ নিয়েও একই ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মল রায়ের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে।
বিধানসভা সূত্রের খবর, ভোটের ফল প্রকাশের পরই নির্মলের শপথের জন্য রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া মেলেনি।
রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর মতে, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল শপথগ্রহণ করাতেই পারেন। আবার তিনি এই দায়িত্ব বিধানসভাকেও দিতে পারেন। কিন্তু রীতি হল, বিধানসভাই শপথগ্রহণ করায় বিধায়কদের। এর আগে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর এবং পরে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নিয়েও একই ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। তখনও স্পিকার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।