
‘শুধু সঞ্জয় নয়, যুক্ত আরও অনেকেই’, বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তার পরেই গত ৯ আগস্ট (9 August) কলকাতার (Kokata) বুকে ঘটে যাওয়া আরজিকরে (RG Kar) হাড়হিম করা কাণ্ডের সাজা ঘোষণার সময়। সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্তের জন্য গোটা দেশের নজর আজ শুধু শিয়ালদহ কোর্টের (Sealdah Court) দিকে। সেই সাজার অপেক্ষায় মেয়ে হারানো বাবা মায়ের। ইতিমধ্যেই গত ১৮ জানুয়ারি এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। আজ সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
তবে সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Rai) দোষী সাব্যস্ত করার পর বিচারককে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই নারকীয় কাণ্ডে শুধু সঞ্জয় দোষী, এ কথা মানতে নারাজ তাঁরা। নির্যাতিতার বাবা মায়ের স্পষ্ট কথা, শুধু সঞ্জয় নয়, আরও অনেকেই যুক্ত বলে তাঁরা মনে করেন। সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হলে তাঁরা অপেক্ষা করবেন, তদন্তে বাকি দোষীদের ধরা পড়ার জন্য।
কিন্ত বার বার যে প্রশ্নগুলো সামনে আসছে তা হল সেদিনের ঘটনাস্থল যদি আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম হয়, তাহলে কোনও চিহ্ন পাওয়া গেল না কেন? কেন প্রথমে নির্যাতিতার পরিবারকে প্রথমে তাঁদের মেয়ে অসুস্থ পরে আত্মহত্যার কথা বলা হল? সব জেনেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন এফআইআর করলেন না? নির্যাতিতার দেহ সৎকারের জন্য পুলিশের এতো তাড়াহুড়ো কেন ছিল? একটা সাদা কাগজে মেয়ের বাবা মাকে কেন সই করতে বলা হয়েছিল? হাজারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেন মেয়ের কাছে একবারও তাদের যেতে দেওয়া হয়নি? নির্যাতিতার বাবা মায়ের কথায়, পুলিশের পা ধরেও বলেছিলাম মেয়েকে একবার দেখতে দিতে এই প্রশ্ন এখনও অনেক। তবে এখনই হতাশ হতে রাজি নয় নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার।
নির্যাতিতার মা এ দিন আদালতের বাইরে বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলছে। আরও দোষী ধরা পড়বে। কারও হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়ে গত অগস্ট মাস থেকেই রাজপথ বার বার উত্তাল হয়েছে নাগরিক মহলের প্রতিবাদে।
ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, সেলিব্রিটিরাও। সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।