শুধুই রাখি বাঁধলেই হয়না মানতে হয় কিছু নিয়ম, জানা আছে?
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন উত্সব (Rakhi Bandhan Utsav)। সেই কারণে শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিটি রাখি পূর্ণিমা (Rakhi Purnima) নামেও পরিচিত। এই দিন ভাই ও বোনেদের উত্সব। ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে তার দীর্ঘ নীরোগ জীবন কামনা করে বোন। অন্যদিকে, ভাইরা তাদের বোনদের রক্ষা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এই রাখি বাঁধার বা এই উৎসব উদযাপনের কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে রাখি বাঁধে
রাখি: রাখির থালায় সুরক্ষা সুতো রাখুন। বিশ্বাস অনুসারে, ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধলে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।
চন্দন: চন্দনকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়, তাই রক্ষাবন্ধনের থালায় চন্দন রাখুন। চন্দন দিয়ে তিলক করলে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু হয় এবং তিনি অনেক ধরনের গ্রহ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অক্ষত: হিন্দুধর্মে, অক্ষত অবশ্যই প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। এই দিনে ভাইয়ের কপালে অক্ষত দিয়ে তিলক লাগান। এতে তাদের জীবন সুখে ভরে যাবে এবং নেতিবাচক শক্তিও শেষ হয়ে যাবে।
নারকেল: প্রতিটি শুভ কাজে নারকেল ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, রাখি বাঁধার সময় নারকেল ব্যবহার করলে ভাইয়ের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে
গঙ্গাজল: প্লেটে গঙ্গাজল ভর্তি একটি কলস রাখুন। এটা রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র এই বিশুদ্ধ জল দিয়ে টিকা দিন।
বাতি: রক্ষাবন্ধনের শুভ উপলক্ষে বোনেরা প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাইয়ের আরতি করে, তাই প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। এই দিনে থালায় প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ভাই-বোনের ভালোবাসা থাকে সম্পূর্ণ পবিত্র।
মিষ্টি: মিষ্টি ছাড়া রাখির থালা অসম্পূর্ণ। বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে ভাইয়ের মুখ মিষ্টি করালে সম্পর্কের মধুরতা বজায় থাকে।
রুমাল: হিন্দু ধর্মে রাখি বাঁধার সময় আবরণ আবশ্যক। বোনেরা রাখি পরানোর সময় ভাইয়ের মাথা যেন কোনও কাপড়ের টুকরো, রুমালে ঢাকা থাকে। এই নিয়মকে শুভ বলে মনে করা হয়।