Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ |
K:T:V Clock

পহেলগাম আবহে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা জয়শঙ্করের

Updated : 4 May, 2025 1:53 PM
AE: Arijit Ghosh
VO: Subhangi Mukhopadhaye
Edit: Aiyushe Maity

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর (Russian Foreign Minister)  সঙ্গে টেলিফোনে কথা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (Foreign Minister Jaishankar) । শুক্রবার এস জয়শঙ্কর কথা বলেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-এর (Russian Foreign Minister Sergei Lavrov) সঙ্গে। দু-দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় ছাড়াও পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

রাশিয়ার মত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি এবং ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার বোঝাপড়ার মাধ্যমে দু-দেশের সমস্যার সমাধান করা উচিত। দু-দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথাবার্তার দিনক্ষণ নিয়েও জয়শঙ্কর-লাভরভ আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্করের সাথে তার ফোনালাপে লাভরভ দিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে মতবিরোধ নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফোনালাপে লাভরভ দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধানরা রাশিয়া-ভারত সহযোগিতার বর্তমান বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন, পাশাপাশি পহেলগামের কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এসভি ল্যাভরভ ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি এবং ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার বিধান অনুসারে দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে মতবিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের প্রাণ চলে গিয়েছে। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারত যে কোনও সময় যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে, তার আশঙ্কায় দিন গুণছে পাক সরকার। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টবার্তা এতগুলো মানুষের মৃত্যু বৃথা যাবে না, দোষীরা উপযুক্ত শাস্ত পাবে। আর এমন শাস্তি পাবে, তা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। এর পরেই ভারতের একের পর এক চাপে কোণঠাসা পাকিস্তান। পাক পতাকাবাহী জাহাজ ভারতের সব বন্দরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতে পণ্য না নামালেও নানা কারণে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করতে হয় পাকিস্তানের অনেক জাহাজকে। সেই অনুমতি বাতিলে বড় সমস্যায় পড়ল পাকিস্তানি বাণিজ্য। সেইসঙ্গে লাগু হয়েছে পাক-পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তির উপর স্থগিতাদেশ, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত।