
Sachin-Anjali | জন্মদিনের দিন ছাড়াও শচীনের একমাত্র ভরসা ভালোবাসার অঞ্জলি
শচীন তেল্ডুকরের জন্মদিনের দিন শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গেল চারিদিকে। তবে সারা বছর যেই মানুষটার থেকে ভালোবাসা পান শচীন কীভাবে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মাস্টার ব্লাস্টারের? ক্রিকেটের ঈশ্বর বরাবরই লাজুক সভাবের তাই তাঁর বাড়িতে বিয়ে প্রস্তাবও নিয়ে যেতে হয়েছিল খোদ অঞ্জলি তেন্ডুলকরকেই। চাইলেও নিজের মুখে বিয়ের কথা বাড়িতে বলতে পারেননি লিটল মাস্টার। শচীন-অঞ্জলির প্রেম কাহিনী প্রমাণ করে বাস্তবেও লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হতে পারে। তাঁদের প্রথম দেখাতেই প্রেম গড়ায় বৈবাহিক সম্পর্কের দিকে। এমনকী অঞ্জলি শচীনের থেকে বয়সে অনেকটা বড়ো হলেও তা কখনও সম্পর্কে বাধা তৈরি করতে পারেনি।
ডাক্তার স্ত্রীয়ের সঙ্গে ২৭ বছর এক ছাতার তলায় সংসার করছেন ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। তাঁদের এই পবিত্র সম্পর্কে কালি ছেঁটাতে পারেনি কেউ। ১৯৯৫ সালের ২৫ মে, বহু প্রতিক্ষিত সেই দিন আসে শচীন অঞ্জলির জীবনে। ২২ বছরের যুবকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন ২৭ বছরের এক মহিলা। পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর সেখান থেকেই বৈবাহিক জীবনের পথ চলা শুরু করেন দুজন মিলে।
আরও পড়ুন
১৯৯০ সালে এক বিমান বন্দরে অঞ্জলিকে প্রথমবারের জন্য দেখেন শচীন, আর প্রথম দেখাতেই প্রেম পড়ে যান দু’জনেই। এক ইন্টারভিউতে নিজেই প্রেমের গল্প প্রকাশ্যে আনেন অঞ্জলি। তিনি জানান, মাকে আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরের বাইরেই এক বন্ধুর সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেই সময়েই অঞ্জলির প্রথমবারের জন্য শচীনকে দেখে পান। একই ভাবে বর্তমান স্ত্রীর দিকে নজর পড়ে মাস্টার ব্লাস্টারের। শচীন যে ইংল্যান্ড সফরে শতরান করে দেশে ফিরছিলেন সেই কথা অঞ্জলির বন্ধুই তাঁকে জানিয়েছিলেন। এরপর মাকে ভুলে তারকা ক্রিকেটারের অটোগ্রাফ আনতে হোটেলে ছুটে যান অঞ্জলি। বন্ধুর থেকে নম্বর নিয়ে শচীনের সঙ্গে কথা শুরু হয় তাঁর।
সিনেমার মতো তাঁদের প্রেম কাহিনী শুরু হয়েছিল। এমনকী সেই মেজাজ ছিল সম্পর্কের মাঝেও। সাংবাদিক সেজে শচীনে বাড়িতে যেতেন অঞ্জলি। ছদ্মবেশে একবার সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন শচীন। বিরতির সময় ভক্তরা চিনে ফেলেন লিটল মাস্টারকে। এরপর হাফ সিনেমা দেখেই প্রেমিকা অঞ্জলিকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে হয় তাঁকে। এইরকমই একের পর এক মজার কাহিনী রয়েছে শচীন-অঞ্জলির সম্পর্কে। আজ ক্রিকেটারের ভগবান ৫০ বছরে পড়লেন। এরমধ্যে ৩২টি জন্মদিনেই তাঁর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন অঞ্জলি তেন্ডুলকর।