
সইফ আলি কাণ্ডে সিমকার্ডের হদিশে নদিয়ায় মুম্বই পুলিশ
অভিনেতা সইফ আলি খানকে (Saif Ali case) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ক্রমশই বাড়ছে রহস্য। অভিযুক্তের বিষয় জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। মোবাইলের সিম (Mobile Sim) কার্ডের হদিশে এবার নদিয়ার (Nadia) চাপড়ায় এল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।
এখনও পর্যন্ত তদন্ত অনুযায়ী, অভিনেতা সইফের খানের ওপরে হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল শাহজাদ (Shariful Shahzad) বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে অনুপ্রবেশ করে পশ্চিমবঙ্গে কিছুদিন ছিল। খুকুমণি শেখ (Khukumani Sheikh) নামে এক মহিলার নামের তোলা সিম কার্ড ব্যবহার করত সে। পিতার নাম জাহাঙ্গীর শেখ (Jahangir Sheikh) । এই খুকুমণির খোঁজে রবিবার রাতে চাপড়া থানার বড় আন্দুলিয়া এলাকায় মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের দু’জন প্রতিনিধি দল চাপড়া থানার বড় আন্দুলিয়া এলাকায় খুকুমণির পিতা জাহাঙ্গীর শেখের বাড়ির খোঁজ শুরু করেছে।
তদন্ত অনুযায়ী, ধৃত শরিফুল শাহজাদ প্রায় সাত মাস আগে মেঘালয়ের ডাউকি নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। নাম বদল করেন। বিজয় দাস নামে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন। স্থানীয় বাসিন্দার আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি ভারতীয় সিম কার্ড কেনেন তিনি। এরপর মুম্বইয়ে পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে। সইফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতারের পর মুম্বই পুলিশ জেরায় এই তথ্য সামনে আসে।
বাংলাতে থেকে নকল আধার কার্ড বানানোরও চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু একাধিক জেলা ঘুরে আধার কার্ড তৈরি করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সিম কার্ডটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি পশ্চিমবঙ্গের খুকুমণি জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ব্যক্তির নামে রেজিস্টার করা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শরিফুল ওই ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করেই সিম কার্ড তুলেছিল।
শরিফুলের বয়ান অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। কাজের সন্ধানে ভারতে আসা তার।
শরিফুলের ফোন পরীক্ষার সময় বাংলাদেশের নম্বরে একাধিক ফোন কলের সন্ধান পায় পুলিশ। এছাড়া পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করত। আধার কার্ড না নিয়েই মুম্বই পাড়ি দিয়েছিল শরিফুল।