Sambit Patra | বাংলায় হিংসা নিয়ে রাহুল সহ বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ সম্বিত পাত্রের
নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Eletions) হিংসা নিয়ে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। তৃণমূলকে (TMC) কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী জোটকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। পাত্রের প্রশ্ন, বাংলায় এই হিংসা, খুনোখুনির সময় কোথায় লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav), কোথায় নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), কোথায় ভালোবাসার দোকান খোলা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “বলা হত, যা বাংলা আজ চিন্তা করে, ভারত তা পরের দিন ভাবে। যে মাটি থেকে বন্দেমাতরম শব্দ উঠে এসেছিল, আজ তৃণমূলের কল্যাণে সেখানেই অপ্রত্যাশিত হিংসা চলছে। এর কোনও নির্বাচনে এই ধরনের হিংসা না আমরা দেখেছি না কোথাও শুনেছি। নির্বাচন এবং হিংসা আজ বাংলায় সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সম্বিত পাত্র আরও বলেন, বাংলায় নির্বাচনী হিংসা এই প্রথমবার নয়। বিজেপি মুখপাত্র ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মৃত্যুর খতিয়ান তুলে ধরেছেন। এরপরেই তিনি বলছেন, “এই দৃশ্য যদি কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে হত তাহলে হাহাকার পড়ে যেত। এই সমস্ত নেতা যারা কখনও বেঙ্গালুরুতে হাত ধরাধরি করছে, কখনও অন্য রাজ্যে করছে, মহাজোটের দৃশ্য দেখাচ্ছে সেসব নেতারা এখন কোথায়?”
মুখপাত্র আরও বলেন, “কোথায় লালুপ্রসাদ যাদব, কোথায় নীতীশজি, কোথায় ভালোবাসার দোকান খোলা রাহুল গান্ধী, এই সমস্ত নেতা এখন কোথায়? একজনের মুখ থেকে একটা শব্দও বেরোয়নি। রাহুলজি আপনি কোথায়, আপনার ভালোবাসার দোকানের কোনও সাড়াশব্দ নেই, আপনি তো সারা দেশে ভালোবাসার দোকান খুলতে চান।”
এরপর রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে সম্বিত বলেন, “আপনি আপনাকে বলছি কেন আপনি চুপ। কারণ আপনার আকাঙ্ক্ষার মেগা মল খোলা হয়েছে, যেন তেন প্রকারেণ আপনি এই দেশে শাসক হতে চান। একবার গদিতে তো বসে যাই, তারপর আমাদের লোক কোথায় হত্যা করছে না করছে দেখার দরকার নেই। ওখানে ভালোবাসার দোকান খোলার কোনও প্রয়োজন নেই।”
বিজেপি মুখপাত্রের আক্রমণের লক্ষ্য এরপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সম্বিত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মা মাটি মানুষের কথা বলেন। আজ মা কাঁদছে, মাটি রক্তে রাঙা আর মানুষের হত্যা হচ্ছে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্মম বন্দ্যোপাধ্যায় বললেও অত্যুক্তি হবে না।”