
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে দোল খেলা নিয়ে বিধিনিষেধ নেই, জানাল বীরভূম জেলা পুলিশ
রাত পোহালেই দোল। বরাবরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতন (Santiniketan) বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু এবার সোনাঝুরি (Sonajhuri) হাটে বনদফতরের তরফ থেকে দোলখেলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে নির্দেশিকা জারি হয়।
আর এই নির্দেশের কয়েকটা ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বীরভূম জেলা পুলিশের (Birbhum District Police) তরফে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, ‘বসন্ত উৎসব ও হোলি উদযাপন সম্পর্কে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আমরা সকলকে ভুল তথ্য এড়িয়ে চলার অনুরোধ করছি। সঠিক আপডেটের জন্য শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের উপর নির্ভর করার আহ্বান জানাচ্ছি’। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে দোল খেলায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই’, পরিবেশের কথা মাথায় রেখে রং খেলা যাবে।
বর্তমান সময় জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, সরস্বতী থেকে দুর্গাপুজো সর্বত্রই রাজনীতির কচকচানি। এবার সেই রাজনীতি থাবা বসালো রংয়ের উৎসবেও।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বলছে বিশেষ মাস এটা। এই মাসে আপনারা বেশি হোলি খেলবেন না। তৃণমূল বিধায়ক ও বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ধর্মীয় রঙ লাগিয়ে নোংরামি করছে বিজেপি।
গত সপ্তাহেই শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে বনদফতরের তরফে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এই ব্যানার। বসন্ত উৎসবে সোনাঝুরির সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রং খেলা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় বনদফতর। কিন্তু তাতেও লাগল ধর্মের রং। সেই নিয়ে উত্তপ্ত হল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলার মানুষ জেনে গেছে হোলির উৎসব বন্ধ করার জন্য কাজ করছে পুলিশ। বলছে বিশেষ মাস এটা। এই মাসে আপনারা বেশি হোলি খেলবেন না। আর কাল শুক্রবার। যেখানে যেখানে হোলি, দোল খেলবেন, সব ১০টার মধ্যে শেষ করে দিন। কোন রাজ্যে বাস করি আমরা? এখানে কি শরিয়ত আইন চলে? এখানে সংবিধান চলে। যে যার ধর্ম পালনের অধিকার বাবা সাহেব আম্বেদকর সবাইকে দিয়েছেন।
শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক ও বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য বন্ধ করতে বলেছিলাম। বিজেপি সেখানেও ধর্মীয় রং লাগিয়ে দিল।