বালেশ্বর: চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ফলে শুক্রবারই একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। শনিবারেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রেলের তরফে। ইতিমধ্যে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী বেশির ভাগ ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ওড়িশাগামী ট্রেনগুলো নিয়েও প্রবল সমস্যায় পড়েছে রেল। এক নজরে দেখে নেব শনিবার হাওড়া থেকে কী কী ট্রেন বাতিল হয়েছে,

২২৮৯৫/২২৮৯৬ হাওড়া-পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
২০৮৮৯ হাওড়া-তিরুপতি হমসফর এক্সপ্রেস
১২৮৬৩ হাওড়া-তিরুপতি হমসফর এক্সপ্রেস
১২৮৩৯ হাওড়া-চেন্নাই মেল
১২৮৩৭ হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস
১২৭০৩ হাওড়া-সেকন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
১২২৪৫ হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস

হাওড়ার পাশাপাশি শালিমার ও খড়্গপুর স্টেশন থেকেও বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। শালিমার স্টেশন থেকে বাতিল ট্রেনে নামগুলো হল,

১২৮২১/১২৮২২ পুরী-শালিমার-পুরী ধৌলী এক্সপ্রেস
১৮০৪৫ শালিমার-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস

খড়গপুর থেকে বাতিল ট্রেনের তালিকা,

০৮০৬৩/০৮০৬৪ খড়্গপুর-ভদ্রক-খড়্গপুর মেমু স্পেশা
১৮০২১ খড়্গপুর-খুড়দা রোড এক্সপ্রেস

এছাড়াও শনিবার আরও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল ঘোষণা করেছে রেল।তার মধ্যে রয়েছে—

০৮৪১১ বালেশ্বর-ভুবনেশ্বর মেমু স্পেশাল
০৮৪১৫/০৮৪১৬ জলেশ্বর-পুরী-জলেশ্বর মেমু স্পেশাল

০৮০৩১/০৮০৩২ বালেশ্বর-ভদ্রক-বালেশ্বর মেমু স্পেশাল
১২৮৯১/১২৮৯২ বাংরিপসি-পুরী-বাংরিপোসি সুপারফাস্ট
১৮০৩৮ জাজপুর কেওনঝড়-খড়্গপুর মেমু
১৮০৪৪ ভদ্রক-হাওড়া বাঘাযতীন এক্সপ্রেস
১২২৭৭/১২২৭৮ হাওড়া-পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস
০২৮৩৮ পুরী-সাঁতরাগাছি স্পেশাল
১২৬৬৬ কন্যাকুমারী-হাওড়া সুফারফাস্ট
২২৮৮৯/২২৮৯০ দিঘা-পুরী-দিঘা সুপারফাস্ট
১২৫৫১ বেঙ্গালুরু-কামাখ্য়া সুপারফাস্ট
১২৮৬৪ বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট
১২২৫৩ বেঙ্গালুরু-ভাগলপুর অঙ্গ এক্সপ্রেস
১২৮৪২ চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস
১২৮৩৮ পুরী-হাওড়া সুফারফাস্ট
১৮৪১০ পুরী-শালিমার জগন্নাথ এক্সপ্রেস
০৮০১২ পুরী-ভাঞ্জপুর স্পেশাল
১২৮১৫ পুরী-আনন্দবিহার নন্দনকানন এক্সপ্রেস
০৮৪৩৯ পুরী-পটনা এক্সপ্রেস
১২০৭৩/১২০৭৪ জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
১২৫০৯ বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি সুফারফাস্ট এক্সপ্রেস

দুর্ঘটনার কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেনের পথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব  রেল সূত্রে খবর, ৩৪ ট্রেনের দিক পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক ট্রেন বাতিল ঘোষণার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। আবার চিকিৎসার জন্য অনেকে দক্ষিণ ভারতে পাড়ি দেন। সেক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগে মুখে পড়ছেন রোগীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বাতিল হওয়া ট্রেন চালানো যাবে না বলে মনে করা হচ্ছে প্রাধমিকভাবে।

প্রসঙ্গত, ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩। জানা যাচ্ছে, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। রেল সূত্রে খবর,  শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা হয়েছে ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।