কাঠফাটা গরমে (Summer) রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু মানুষ এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ত্বকের (Sikn) আর্দ্রতাও হারিয়ে যাচ্ছে এই সময়। আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শীত, গ্রীষ্ণ বা বর্ষা, যে কোনও সময়েই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই গরম থেকে সাময়িক বাঁচতে অনেকেই ঘরে এসি লাগান। এছাড়াও অফিসে এসিতে বসে কাজ করেন অনেকেই। ত্বকে আর্দ্রতার ঘাটতি হলেই কিন্তু বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগে না। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লারও ঘাটতি দেখা দেয়।    

এই গরমে এসিতে থাকতে ভালো লাগছে ঠিকই। কিন্তু জানেন কি এসি’র মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। ঠান্ডা-গরমে অনেকের শরীর খারাপও হয়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে ত্বকে এর কী প্রভাব পড়ে? উত্তর, হ্যাঁ। 

ত্বকে এসির প্রভাব 
দু’ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার পরেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন নিজের ত্বক এবং শরীরে। খেয়াল করবেন যে, ত্বক আগের মতো নেই। পরিবর্তন চোখে পড়বে। ধীরে  ধীরে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে থাকবে। পাশাপাশি ত্বকে শুষ্কতা অনুভব করতে পারেন আপনি। ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকলে ত্বকের বড় ক্ষতিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করে  বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

জানেন কেন হয় এমন?  
হেলথলাইন জানাচ্ছে, এয়ারকন্ডিশনিং আমাদের ফুসফুসের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। এটি ঘর থেকে ধোঁয়া এবং যানবাহনের দূষণ ছেঁকে বের করে দেয়। বাতাসের আর্দ্রতাও কম করে।  তবে, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমতে থাকায় তার প্রভাব পড়ে আপনার ত্বকেও। ঠিক শীতকালে যেমন হয়ে থাকে। 

কী কী নিয়ম মানতে হবে?  
মহিলাদের ত্বকেই এর প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায়। পুরুষের ত্বকে কোনও ক্ষতি হয় না, এমনটাও কিন্তু আবার ভাববেন না। তাই এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই। ব্যাগে ময়শ্চারাইজার রাখুন। অফিসে ঢোকার পরেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। হাতে-মুখে ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। পাশাপাশি ফেস মিস্ট ব্যবহার করুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। অফিসে থাকাকালীন অন্তত ১.৫-২ লিটার জল পান করার চেষ্টা করুন। ত্বক ভালো থাকবে।