রেমালের দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে সুন্দরবন
সুন্দরবন: সুন্দরবনের দুর্যোগ কাটিয়ে ফেরি চলাচল হল স্বাভাবিক। নদীর পাড়ে চোখে মুখে আতঙ্ক গ্রামবাসীদের। ৩০ জন পঞ্চায়েত নির্বাচিত সদস্য ৩০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন ব্লকে সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ হাসনাবাদ হাড়োয়া রেমালের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তারপরে সন্দেশখালির পাশাপাশি স্বরূপনগরসহ বেশ কিছু ব্লক। ভয় আতঙ্ক কাটিয়ে সুন্দরবনের ফেরি চলাচল শুরু হল।
সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে আয়লা আমফান কিনবা ইয়াসে বড় বিপর্যয় দেখেছে সুন্দরবনবাসী। আর এবার দেখল রেমাল। গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য নিজেদের অর্থ দিয়ে তিনটি পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তাঁদেরকে ত্রিপল দিয়েছেন। রীতিমতো খুশি সীমান্ত পারের বাসিন্দারা। কিন্তু বেশকিছু গ্রামবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে তাঁরা একটি ঘরও পায়নি। ত্রিপল পেলেও ঘর পাচ্ছেন না। কিন্তু ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বাংলার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে যাঁরা ঘরের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদেরকে ধাপে ধাপে ঘরের টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের মানুষ রেমালের আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টা করছেন।