Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |
K:T:V Clock

সুপ্রিম কোর্টে পিছোল রাজ্যের ২ গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি

Updated : 7 Jan, 2025 6:31 PM
AE: Krishnendu Ghosh
VO: Subhangi Mukhopadhyay
Edit: Susmita Dey

স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় শুনানি (Job Cancellation Case Hearing) ফের পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে সব পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি। একইসঙ্গে এদিন পিছিয়ে গেল ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলার (OBC Certificate Cancellation Case) শুনানিও। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি।

এই মামলায় মঙ্গলবার শুনানি হলে সিবিআই-এর (CBI) সওয়াল করার কথা ছিল। কারণ সিবিআইকে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন শুনানি স্থগিত থাকলেও, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআইকে আজই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে মামলায় যুক্ত সব পক্ষকেও তাদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সেদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের উপর জোর দেয়। বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব না হয়, তবে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর পর, গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। এতে ২৫,৭৫৩ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়। যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পৃথকভাবে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। পাশাপাশি, চাকরি হারানো প্রার্থীদের একাংশও হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানান। ২০২৩ সালের ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সময় বেঞ্চ জানায়, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব হলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।