বিদ্রোহীরা দামাস্কাসের দিকে এগনোয় দেশ ছাড়ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট? বড় আপডেট
নয়াদিল্লি: রাশিয়ার সামরিক সহায়তাতেও কাজ হচ্ছে না। বিদ্রোহীদের (Rebels) দখলে চলে গেল সিরিয়ার (Syria) অধিকাংশ শহর। সেনার সঙ্গে সপ্তাহভর টানা সংঘর্ষের পর দেশের বড় শহরগুলির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী হায়াত তাহরির আল শাম, জইশ আল ইজ্জা ও সহযোগী গোষ্ঠীগুলির হাতে। শনিবার রাজধানী দামাস্কাসের দিকে অগ্রসর হয়েছে বিদ্রোহীরা। ২৪ বছরের শাসন কি খোয়াতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (Bashar al-Assad)? এই প্রেক্ষিতে খবর ছড়িয়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়েছেন। যদিও তাঁর দফতর জানিয়েছে, তিনি দামাস্কাসেই রয়েছেন। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমসের উপকণ্ঠে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।
শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর হোমসের আশেপাশে যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের সরিয়ে লাগাতার বিমান হামলা শুরু করে। কিন্তু, শনিবারের মধ্যে বিদ্রোহীরা উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা উত্তরে আলেপ্পো, মধ্য সিরিয়ায় হামা এবং পূর্বে দেইর আল-জোর সহ প্রধান শহরগুলি দখল করে। কুনেইত্রা, ডেরা এবং সুওয়েদার মতো দক্ষিণাঞ্চলও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। বিদ্রোহীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম দখল করে। দামাস্কাসের ৩০ কিলোমিটার মধ্যে তারা ঢুকে পড়েছে। জানা গিয়েছে, তাদের কাছে সরকারী বাহিনী পিছু হটেছে। রাজধানীতে নতুন করে অস্থিরতার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। দামাস্কাসের শহরতলিতে বিক্ষোভকারীরা আসাদের বাবার একটি মূর্তি ভেঙেছে। রয়টার্স সূত্রে শনিবার রাতে এই খবর জানা গিয়েছে। বাশারের সমর্থকরা চাইছেন, এখন সিরিয়া সরকার দ্রুত কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্রোহীদের দমন করুক। তীব্রতা বাড়ানো হোক বিমান হামলার। উল্লেখ করার যে, এতদিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি একে অপরের শত্রু ছিল। কিন্তু এবার সবাই একজোট হয়ে বাশার সরকারের বিরুদ্ধে নেমেছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সিরিয়া নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। এই সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে ভারত সরকার আগেই সিরিয়ায় থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলেছে। হেল্প নম্বর দিয়েছে।