রেলের গড়িমসিতেই কাটছে না তারকেশ্বর লাইনের জট?
তারকেশ্বর: দীর্ঘদিন ধরেই চলছে কাজ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আপডেট এসেছে রেলের তরফে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ বাঁও জলে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের কাজ। কারণ রেলের এই বিশেষ রুটের কাজ এখনও থমকে রয়েছে ভাবাদিঘি জটে। অথচ রেলের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই বলা হয় যে, জট কেটেছে, এবার কাজ শুরু হবে। কিন্তু জট কাটলেও কাজ শুরু হয়নি কেন? এই প্রশ্নটা আজকের দিনে ভীষণ প্রাসঙ্গিক। কারণ, ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির লোকজন বলছেন, জট কাটেনি। জট কাটতে হলে তাঁদের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত নিতে হবে। কিন্তু সরকার বা রেল কেউই নাকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেনি, হয়নি কোনও ইতিবাচক বৈঠকও। বারে বারে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসেছেন, কিন্তু কোনও সমাধান না করেই তাঁরা চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। সুতরাং জট কাটেনি।
তাহলে এই লাইনের ভবিষ্যৎ কি? আদৌ কি কামারপুকুর লাইন সংযুক্ত হবে? এই লাইনের কাজ না হওয়ার জন্য দায়ী কে? ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি, নাকি রাজনৈতিক তর্জা, নাকি রেলের অনিহা? কাদের গড়িমসির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ? ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির লোকজন বলছেন, রেল নাকি ভাবাদিঘি অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। তাঁদের নামে নাকি রেকর্ডও হয়ে গেছে ভাবাদিঘির কিছুটা অংশ। অর্থাৎ, যতটা জায়গা দরকার, সেই অংশ রেল নিজের নামে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে কমিটির কর্তা ব্যক্তিরা প্রশ্ন তুলেছেন, কোনও ভুতুড়ে কান্ড ঘটিয়ে ভাবাদিঘির ঐ অংশ রেজেস্ট্রি করে নিয়েছে রেল। এই বিষয়ে, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বলেন, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এভাবে যদি জট কাটছে না। তাই কবে কাটবে এই জট? এর উত্তর এখনও অজানা।