
সেরা পর্যটন গ্রাম হিসাবে নির্বাচিত হল তেলঙ্গানার দুটি গ্রাম
নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানার (Telangana)মুকুটে নয়া পালক। ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি পেতে চলেছে রাজ্যের দুটি গ্রাম। জনগাঁও জেলার পেম্বারথি এবং সিদ্দিপেট জেলার চান্দলাপুর গ্রামকে সেরা পর্যটন গ্রামের (Best Tourist village) তকমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। আর ওইদিনই গ্রাম দুটিকে সেরা গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি (G. Kishan Reddy)।
পর্যটন মন্ত্রকের অধীনে গ্রামীণ পর্যটনের কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সি পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে সেরা পর্যটন গ্রাম প্রতিযোগিতা চালু করেছে। এই নিরিখে এবার তেলঙ্গানার জনগাঁও জেলার পেম্বারথি এবং সিদ্দিপেট জেলার চন্দলাপুর গ্রাম সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা পাচ্ছে। হস্তশিল্প ও ধাতুর কাজের জন্য বিখ্যাত জনগাঁও জেলার পেম্বারথি। এই গ্রামের অধিকাংশেরই পেশা পিতলের পাত্রের উপর নানান সুক্ষ্ম কারুকাজ করা। এই গ্রামের শিল্পীদের কারুকাজ করা পিতলের মূর্তি, বাসনপত্র এবং অলঙ্কার এখানকার ঐতিহ্য ও কারিগরদের দক্ষতার প্রতীক। এখান থেকে কারুকাজ করা পিতলের সামগ্রী বিদেশেও রফতানি হয়। এছাড়া প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার পর্যটক পেম্বারথি গ্রামে বেড়াতে আসেন। তাই তেলঙ্গানার সংস্কৃতির প্রচার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভারত সরকার পেম্বারথিকে সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এই গ্রামের পণ্যগুলি জিআই ট্যাগ স্বীকৃতি দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে, সিদ্ধিপেট জেলার চান্দলাপুর তাঁত শাড়ির জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার পেশা, তাঁতের শাড়ি বোনা। এখানকার শাড়িগুলিতে তেলঙ্গানার শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়। এছাড়া শিল্পীদের নিরেট, সুক্ষ্ম বুনন তাঁদের শৈল্পিক দক্ষতার অনন্য প্রতিফলন। এখানকার শাড়ি বিদেশেও রফতানি হয়। এছাড়া এই গ্রাম সংলগ্ন রঙ্গনায়ক স্বামী মন্দির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। তাই এখানকার ঐতিহ্য-শিল্প ও পর্যটন বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চান্দলাপুর গ্রামকে দেশের দ্বিতীয় সেরা পর্যটন গ্রাম হিসাবে নির্বাচন করেছে কেন্দ্র।