রামমন্দিরের প্রবেশপথে বসছে বাংলার শিল্পীর তৈরি ম্যুরাল
অযোধ্যা : রামমন্দিরের (Ram Mandir) প্রবেশপথে বসছে রামায়ণে (Ramayana) বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার ২০০টি ম্যুরাল। যেগুলি তৈরি হচ্ছে পাথর, সিমেন্ট, সেরামিক টাইল, ফাইবার ও পোড়ামাটি দিয়ে। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদারের হাতে তৈরি এই ম্যুরালগুলি পাড়ি দিচ্ছে অযোধ্যায়।
অযোধ্যায় (Ayodhya) রামমন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ২২ জানুয়ারি। কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙার বাসিন্দা টেরাকোটা শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদারের (Biswajit Majumder) হাতেই তৈরি হচ্ছে এই ম্যুরালগুলি। এর মধ্যে ১০০টি ম্যুরাল টেরাকোটার তৈরি। রামমন্দিরের প্রবেশপথ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধর্মপথ’, তার দু’ধারে বসানো হচ্ছে এই ম্যুরালগুলি। সেগুলি টুকরো টুকরো অবস্থায় চলে যাচ্ছে অযোধ্যায়। সেখানে সেগুলিকে মেলানো হবে। এই কাজে বিশ্বজিৎকে সাহায্য করছেন ২৭ জন সহযোগী শিল্পী। কৃষ্ণনগরের স্টুডিওতে এখন দম ফেলার সময় নেই বিশ্বজিতের।
কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে বিশ্বজিৎকে। তাই ঘুম উড়েছে শিল্পী এবং সহযোগীদের। মন্দিরের প্রবেশপথে দেখা যাবে তাঁর হাতের নানা শিল্পকর্ম। কাজের তদারকি করতে গত কয়েক মাস ধরে অযোধ্যা আর কৃষ্ণনগরের মধ্যে ছুটে বেড়চ্ছেন তিনি। সমস্ত কাজটাই হচ্ছে কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙায় তাঁর স্টুডিয়োতে।
অযোধ্যা সরকারি সংগ্রহশালায় বিশ্বজিতের হাতে তৈরি টেরাকোটার কিছু শিল্পকর্ম আগে থেকেই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই শিল্পকর্মের জন্যে তাঁকে সংবর্ধনাও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সূত্রেই শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় রামমন্দির ট্রাস্টের কর্তাদের। তাঁরাই বরাত দেন শিল্পীকে। অক্টোবর মাস থেকে তিনি কাজ শুরু করেন। ম্যুরাল তৈরির জন্য তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের ছবি। সেগুলিকে অবলম্বন করেই তৈরি হচ্ছে প্রতিটি ম্যুরাল। এক একটি ম্যুরালের মাপ ২০ ফুট বাই ১০ ফুট।