Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |
K:T:V Clock

‘শতবর্ষে হার্জের টিনটিন’ গেল ফ্রান্সে

Updated : 6 Jan, 2025 8:46 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Subhangi Mukhopadhyay
Edit: Dipa Naskar

‘শতবর্ষে হার্জের টিনটিন’ পাড়ি দিল ফ্রান্সে। বইটির লেখক অনিরুদ্ধ সরকার। টিনটিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক অলিভার রাচেঁ। টিনটিনের জীবনী লেখার কাজ করছেন। এই শহরের তরুণ লেখক অনিরুদ্ধর বইয়ের খবর তিনি পেয়েছিলেন এক বন্ধু মারফত। এরপরই এই বইয়ের প্রকাশকদের সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করা হয়। ‘শব্দ’ প্রকাশনার কর্ণধার বিকাশ কল্প গবেষক অলিভার রাচেঁকে বইটি পাঠান। বিকাশ জানিয়েছেন- “আঞ্চলিক ভাষায় টিনটিনকে নিয়ে গবেষণাধর্মী এটি প্রথম বাংলা বই যা ফ্রান্সে গেল। প্রকাশক হিসেবে আমরা গর্বিত। এটিই প্রথম নয়, আমরা এর আগে অনিরুদ্ধর ‘রহস্যে ঘেরা হিমালয়’ এবং ‘রহস্যে ঘেরা তিব্বত’ বই দুটি দ্বীপরাষ্ট্র মালটায় পাঠিয়েছি৷”

টিনটিন লেখক অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন- “২০২৪ সালে টিনটিনের জন্মদিনে এই বইটি প্রকাশ পেয়েছিল কলকাতার ‘টিনটিন ক্যাফে’তে৷ টিনটিনকে বাংলায় আনার কথা প্রথম বলেন সত্যজিৎ রায়। ফেলুদা টিনটিনের ফ্যান ছিলেন। ‘শতবর্ষে হার্জের টিনটিন’ বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশিত হয় বেলজিয়ামে টিনটিনের মিউজিয়ামে। পরে গবেষণার জন্য বই চেয়ে পাঠান টিনটিন গবেষক অলিভার রচেঁ।ধন্যবাদ উনাকে। ধন্যবাদ টিনটিনপ্রেমী সমস্ত মানুষজনকে।”

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে বাঙালি পেয়েছিল টিনটিনকে। সেটিই ভারতে প্রথম বাংলা ভাষায় টিনটিন।শতবর্ষের আগেই টিনটিনকে সম্মান জানিয়েছেন লেখক অনিরুদ্ধ । সত্যজিৎ রায়ের যোগসূত্র ধরে বই পৌঁছেছিল সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়ের কাছে। সন্দীপ রায় জানিয়েছেন- “বাংলায় এধরণের কাজ প্রথম। লেখককে শুভেচ্ছা।”

লেখক অলিভার রচেঁ জানিয়েছেন, তাঁর এই বইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি তাঁর বইগুলি অনিরুদ্ধ সরকারকে পাঠাবেন। এর আগেও অনিরুদ্ধ সরকার বিসমিল্লা খাঁন সহ একাধিক বিষয়ে বই লিখেছেন। তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়েছে। তাঁর কথায়, “টিনটিন একটি আন্তর্জাতিক চরিত্র। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। লেখক প্রকাশক সহ আমরা তিনজনই প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মাস ছয়েকের ওপর কাজ চলেছে। নজর দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বিষয়ে। বইয়ের ভেতরের ছবিগুলি হার্জে মিউজিয়াম থেকে তুলে আনা হয়েছে।” ২০২৫ সাল থেকে মার্কিন কপিরাইট আইন থেকে মুক্তি পেয়েছে টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চার। ফলে পরবর্তী সময়ে আরও বেশি মানুষের কাছে টিনটিন পৌঁছবে, একথা হলফ করে বলাই যায়।