Rath Yatra 2023 | Tarapith | শুধু জগন্নাথ নয়, রথের দিন রথে চড়ে শহর ভ্রমণ করেন তারাপীঠের মা তারাও
কলকাতা: রথযাত্রা (Rath Yatra) মানেই চোখে ভেসে ওঠে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছবি । কিন্তু তারাপীঠের (Tarapith) রথযাত্রা একেবারে ব্যতিক্রম। এখানে রথে জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রার পরিবর্তে সওয়ারি হন মা তারা (Maa Tara)। তবে জগজ্জননীর রথ কাঠের নয়, পিতলের তৈরি রথে করেই পরিক্রমা করেন। সেই রথে দেবীকে বসিয়ে ধুমধাম করে ঘোরানো হয়। প্রাচীনকাল থেকেই একই নিয়ম চলে আসছে তারাপীঠের মা তারার রথযাত্রায়।
তারাপীঠে মা তারা একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই সর্ব দেবদেবী রূপে মা তারাকেই পুজো করা হয়ে থাকে। সেই প্রাচীন রীতি অনুযায়ী আজও তারাপীঠের রথে জগন্নাথ দেবের পরিবর্তে মা তারাকে সওয়ারি করা হয়। রথের দিন অন্নভোগের পর বিকেল তিনটে নাগাদ মা পথে বেরনোর জন্য প্রস্তুত হন। মাকে রাজবেশে সাজিয়ে বিশেষ আরতি করা হয়। এদিকে পিতলের রথকে সুন্দর করে, ফুল দিয়ে সাজানো হয়। তারপর গর্ভগৃহ থেকে মাকে বের করে রথে বসানো হয়। গোটা রথেজুড়ে দেবী অধিষ্ঠান করেন। এদিন তারাপীঠের সেবায়তদের কাঁধে চেপে শহরপরিক্রমা করে থাকেন। মা তারার এই অভিনব রথ যাত্রা দেখতে এদিন তারাপীঠে ভীর জমান প্রচুর পূর্ন্যার্থী। ভিড় সামাল দিতে তারাপীঠ থানার পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
আজকের বিশেষ দিনে রথের মধ্যেই কাঁঠালের ভোগ নিবেদন করা হয়। এদিন প্রসাদ হিসেবে বাতাসা ও প্যাঁড়া ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বলতে গেলে সেই প্রসাদ পেতে এক প্রকার লুঠই চলে। কথিত আছে, এদিন দেবীর দর্শন পেতে ও প্রসাদ পেতে জনসমুদ্রের আকার ধারণ করে থাকে। আর এই প্রসাদ গ্রহণ করলে পাপমুক্তি ঘটে। আর দেবীর দর্শন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করা হয়। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই শক্তিপীঠ সাধক বামাখ্যাপার সাধনক্ষেত্র তন্ত্রচর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, তারাপীঠের বিখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ তারাপীঠের রথযাত্রা প্রচলন করেছিলেন।