কলকাতা: ১৫ বছর বয়সের পুরনো কোনও গাড়ি চালানো বেআইনি বলে সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছে। এ বার এই নিয়মের আওতায় বাতিল হতে চলেছে রাজ্যের ১১ হাজার সরকারি যানবাহন। সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ইতিমধ্যে গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গাড়ির নম্বর ধরে ধরে গাড়ি চিহ্নিত করার কাজও এগিয়েছে অনেকটাই। যার মধ্যে রয়েছে শ’খানেক সরকারি বাস। যার বেশিরভাগ পড়ে রয়েছে সরকারি গ্যারেজে। তাই এই বাস বাতিলের ক্ষেত্রে পরিবহন দফতরকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাতিল গাড়িগুলিকে স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পরিবহণ দফতরের খাতা থেকেও ওই গাড়িগুলির নম্বর মুছে ফেলা হবে। তবে আচমকাই ১১ হাজার গাড়ি বাতিল করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের একাংশ।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বতিলের তালিকায় থাকা গাড়িগুলির মধ্যে একটা বড় অংশ পরিবহন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের জন্য ব্যবহার হয়। এক ঝটকায় সব গাড়ি বাতিল করা হলে অথৈ জলে পড়বে পরিবহন দফতর। শীর্ষ আধিকারিকদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে নাজেহাল হতে হবে দফতরকে। তাই ধাপে ধাপে ওই গাড়িগুলিকে বাতিল করা হবে। সম্প্রতি বেসরকারি বাস মালিকদের একটি সংগঠন অভিযোগ করেছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকারি বাস রাস্তায় নামিয়েছে পরিবহণ দফতর। সংগঠনটির দাবি ছিল, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে যখন বেসরকারি বাস চালানোর অনুমতি রাজ্য সরকার দেয় না। তখন কিসের ভিত্তিতে বেআইনি ভাবে সরকারি বাস রাস্তায় নামছে? বিষয়টি নজরে এসেছিল পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের। তারপরই এই ১১ হাজার গাড়ি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ দফতর।

যদিও পরিবহণ দফতরের কথায়, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে গাড়িগুলির বাতিল নিয়ে দফতরের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম রাজ্যের সরকারি থেকে বেসরকারি গাড়ির মালিকেরা মানতে বাধ্য। তাই সরকার নিজে যে নিয়ম তৈরি করেছে সেই নিয়মের আওতায় থাকা ১১ হাজার গা়ড়ি বাতিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।