
Egra | TMC | এগরার গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা
এগরা: এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রামে গিয়ে বুধবার স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের ঘিরে চোর চোর স্লোগান ওঠে। দুই মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিপ্লব রায়চৌধুরী, সৌমেন মহাপাত্র, সাংসদ দোলা সেন প্রমুখ এদিন খাদিকুল গ্রামে যান। তাঁদের দেখে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে মানস বলেন, এটা গ্রামের মানুষের নয়, রাম-বামের বিক্ষোভ। এরকম বিক্ষোভ আগে অনেক দেখেছি। এখন বাম, বিজেপি (BJP) সব এক হয়েছে।
তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এদিন গ্রামে গিয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia) পুলিশ অফিসারদের কাছে মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। পুলিশ অফিসাররা তাঁকে জানান, বাজি কারখানার মালিক গত বছরই অক্টোবর মাসে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওই বাজি কারখানার যে লাইসেন্স ছিল না, পুলিুশ অফিসাররা তাও স্বীকার করেন শাসকদলের প্রতিনিধিদের কাছে। মানস বলেন, পুলিশ তাহলে কী করছিল, সেটা দেখতে হবে।
পরে মানস অকুস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ স্তরে তদন্ত করবে। কোনও দোষী পার পাবে না। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে আছে, থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই নবান্নে বসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ অফিসাররা মন্ত্রীকে জানান, বাজি কারখানার মালিক পালিয়ে গিয়েছেন। সম্ভবত ওড়িশায় চলে গিয়েছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।
তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা যাওয়ার আগেই খাদিকুল গ্রামে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ওই বিস্ফোরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দাবি করেন। শুভেন্দু বলেন, এতগুলি মানুষ মারা গেল, তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। কেন লাইসেন্স ছাড়া এতদিন ধরে বাজি কারখানা চলছিল, তার জবাব পুলিশমন্ত্রীকে দিতে হবে। বিরোধী নেতা স্থানীয় থানার আইসিকেও দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই আইসির সঙ্গে বাজি কারখানার মালিকের সুসম্পর্ক ছিল। আইসিকে নিয়মিত মাসোহারা দিতেন মালিক। তিনি ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। সেই দাবিতে শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টে এদিন মামলাও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য মঙ্গলবারই জানান, এনআইএ তদন্ত হলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। এদিন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গেলেও ঘটনাস্ছলে দেখা যায়নি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ককে। মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ জনতা বিধায়ককে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।