Volodymyr Zelenskyy | রাশিয়ার অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কী বললেন জেলেনস্কি
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধের আচমকাই নয়া মোড়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Russian President Vladimir Putin) চরম অস্বস্তিতে ফেলে তাঁর বিরুদ্ধেই বিদ্রোহের ঘোষণা করেছেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান তথা পুতিনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigogine)। এমনকী পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকিও দিয়েছেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন। তাঁর সেই হুঁশিয়ারির পরেই শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (President of Ukraine Volodymyr Zelensky) বলেন, পুতিন ভয় পেয়ে নিছি কোথাও লুকিয়ে আছেন।
বছর পাড় হয়ে গেলেও এখনও অবিরাম রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে পুতিন বাহিনী যখন হার মানতে বসেছিল ঠিক সেই সময় ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার বাহিনীর সাহায্য নিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বাখমুট সহ একাধিক শহর দখল করে নেয় ওয়াগনার বাহিনী। তারপর হঠাৎই শুরু হয় গৃহ যুদ্ধ। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সকালে ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ দখল করে ভাড়াটে সেনা।এরপর দুপুরে রাশিয়ার আরও এক শহর লিপেৎস্কের দখল করে নিয়েছে তারা। এখনই শেষ না শীঘ্রই রাশিয়া নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে বলে বিবৃতি দেন প্রিগোজিন। জানান, সরকারি ভাবে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
ওয়াগনার বাহিনীর এই অভিযানের পরই ভিডিয়ো বার্তা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি । তিনি বলেন, ক্রেমলিনের ওই লোকটা নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে এবং কোথায় লুকিয়ে রয়েছে। পুতিন নিজেই নিজের জন্য এই বিপদ তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার মনে রয়েছে, কীভাবে ২০২১ সালে রাশিয়া গোটা বিশ্বকে ভয় দেখিয়েছিলেন। সবাইকে চরম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চেয়েছিলেন। ২০২২ সালে তিনি দেখালেন কতটা বিভ্রান্ত তিনি। ক্রেমলিন যে কোনও সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করতে পারে, যেকোনও ধরনের বোকামোর কাজ করতে পারে, কিন্তু প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণের এক শতাংশও করতে পারে না। ওরাই আসল সমস্যা। একদিনেই ওদের শহর হাতছাড়া হয়েছে। রাশিয়ার সমস্ত গুন্ডা, সন্ত্রাসবাদী গোষ্টীগুলিকে দেখিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার শহর দখল করা কত সোজা। এবার আর বিশ্বের কেউ চুপ থাকবে না।