
এবারও বাজেটে বাংলার প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্যই থাকবে?
১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে এবারেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটে সরকার অনেক খাতে বড় বড় ঘোষণা করতে যাচ্ছে। গত বারের বাজেটে বিহার ও অন্ধ্রের বড় প্রাপ্তিযোগ ছিল। কেন্দ্রে জোটনির্ভর সরকার। শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিকে খুশি করতেই বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশকে ঢালাও বরাদ্দ দিয়েছিল কেন্দ্র। বাংলার জন্য বিশেষ কিছুই দেখা যায়নি নির্মলার বাজেটে। অন্যবারের মতো এবারও বাজেটে বাংলার প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্যই থাকবে না কি খানিকটা পূর্ণ হবে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে এবারেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বিজেপি সরকারের ১২ জন সাংসদ বাংলা থেকে রয়েছেন। চলতি বর্ষে বাজেটে উত্তরবঙ্গে এইমস, রেললাইন-সহ কেন্দ্রকে একগুচ্ছ প্রস্তাব বঙ্গ বিজেপির। বাংলার ১২ জন সাংসদকে একজন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তত্ত্বাবধানে রেখেছেন। সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে একটি আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর রেললাইন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি নিয়ে রিপোর্ট পাটিলের কাছে গত মাসেই জমা দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে বলে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা, রায়গঞ্জের সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন সাংসদ রায়গঞ্জে এইমস তৈরির দাবি জানিয়েছেন। বাজেটে বাংলাকে কিছু দেওয়া হবে বলেই রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা এবার আশাবাদী।
বাংলাকে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে এই অভিযোগ সামনে রেখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ রাজ্যবাসীর কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বিজেপিকে। এবার ১২ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র একজনকে প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার হয়েছে। বারবার বাংলাকে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। এখনও প্রশ্ন বাংলার মানুষের মন পেতে বাজেটে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দরাজ হস্ত হবে? রাজনৈতিক মহলের মতে এবারও সেই আশা ক্ষীণ। এবারের বাজেটে প্রতিবারের মতো বাংলাকে খালি হাতে ফিরতে হবে।