Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

US Debt Ceiling Bill | সেনেটেও পাশ ঋণবিল, দেউলিয়া হওয়ার হাত এড়াল আমেরিকা

Updated : 2 Jun, 2023 4:47 PM
AE: Samrat Saha
VO: Soumi Ghosh
Edit: Silpika Chatterjee

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিল পাশ হয়ে গেল আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটে। এর আগে জাতীয় ঋণের সীমা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ জনপ্রতিনিধি সভা। গত বুধবার এ-সংক্রান্ত বিলের উপর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। বিলটির পক্ষে ৩১৪ ভোট পড়ে, বিপক্ষে ১১৭ ভোট। অন্যদিকে, বিরোধী সমর্থিত বিলটি সেনেটে ৬৩-৩৬ ভোটে পাশ হয়ে যায় বৃহস্পতিবার। এতে করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর দলের সমর্থিত এই আইন পাশে  আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার ঋণখেলাপির সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব হল।

উল্লেখ্য, মার্কিন কোষাগার মন্ত্রক সরকার ও বিরোধীদের সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছিল যে, আইনসভায় এই বিল পাশ না হলে আগামী ৫ জুনের মধ্যে সব আর্থিক বিল মেটানো সম্ভব নয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসে বিরোধীদের সমর্থনে এই বিল আনে বাইডেন সরকার। সেনেটের নেতা চাক স্খুমার এদিন বলেন, আমরা ঋণখেলাপি হওয়ার হাত বাঁচলাম আজ। এই আইনের ফলে আগামী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণের ঊর্ধ্বসীমা খারিজ করা হল। এতদিন যা ছিল ৩১.৪ লক্ষ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি হয়ে পড়া এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি বিপুল ভোটে পাশের বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনে অচলাবস্থা চলছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সমঝোতার ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধিসভা এবং সেনেটে বিলটি পাশ হল।

প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হওয়ার পর বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে যায়। ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত ১০০ আসনের সেনেটে বিলটি পাশ হতে ৬০ ভোটের দরকার ছিল। বিলটি সেনেটে পাশ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা আইনে পরিণত হবে।

৫ জুনের আগে ৯৯ পৃষ্ঠার এই বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার বিষয়ে জরুরি তাড়া রয়েছে। কারণ, মার্কিন সরকারের তথ্য মতে, দেশের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ ৫ জুন। এই সময়ের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানো না গেলে আমেরিকার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই বিল পাশ হওয়ার পর স্খুমার সেনেটে বলেন, আমেরিকা এখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।