পাহাড় ও সমুদ্র একসঙ্গে ঘুরে দেখতে চান? গন্তব্য হোক কেরলের এই জায়গা
কলকাতা: বাঙালি মানেই ভ্রমণপ্রিয়। সামান্য ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়া বাঙালির কাছে জলভাত। আর সামনেই দুর্গাপুজো। পুজো মানেই লম্বা ছুটি। পুজোর কটা দিন বেশিরভাগ বাঙালি পরিবার বেড়িয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশ্যে। কেউ বেছে নেন পাহাড়, কেউ সমুদ্র, আবার কেউ জঙ্গল। আর যদি আপনি পাহাড় আর সমুদ্রের একসঙ্গে মজা নিতে চান, তাহলে যেতে পারেন ভারকোলা (Varkala)। ঈশ্বরের নিজের দেশ বলা হয় কেরলকে (Kerala)। সেই কেরলেই আরব সাগরের তীরে অবস্থিত ভারকালা।
তিরুঅনন্তপুরম শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে ভারকালা। সৌন্দর্যের কারণে এই স্থানটিকে ঘিরে রয়েছে অনেক পর্যটন আকর্ষণ, সেই সঙ্গে এখানকার সমুদ্র সৈকত এই স্থানের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। গাঢ় নীল সমুদ্র, সোনালি বালুচর, আর সবুজের ছোঁয়া। তার সঙ্গে লালচে পাহাড়। সমুদ্র সৈকতের একদম গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পাহাড়। সেখানেই লাইন দিয়ে রয়েছে সারি-সারি দোকান-পাট, রেস্তোরাঁ-ক্যাফে, পানশালা ও হোটেল। ভারকালার সমুদ্র সৈকতে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বেশি দেখা যায়।
সকালবেলা একদম ভিড় দেখা যায় না এখানে। বেলা বাড়লে রোদ পোহাতে আসেন পর্যটকেরা। ভিড় জমে সমুদ্রতটে থাকা স্যাকগুলোতেও। তবে, ভারকালার সমুদ্র সৈকত সেজে ওঠে সূর্য ডুব দেওয়ার পর। পাহাড়ের উপর থাকা রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, দোকানগুলোতে আলো জ্বলে ওঠে। তার সঙ্গে চলে গান-বাজনা। ভারকালার সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত হল পাপনাশম বিচ। এখানেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। শান্ত ও নির্জন সমুদ্র সৈকত।
এই পাপনাশম বিচ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি ঝরনা বেলাভূমি। বলা হয়, এই ঝরনা জলে রয়েছে ওষুধি গুণ। তাই পাপনাশম বেলাভূমির জলে স্নান করলে সমস্ত পাপ, শারীরিক ক্লান্তি ধুয়ে চলে যায়। এছাড়া ভারকালা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কাপ্পিল সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতে বসে সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। ভারকালার খুব কাছেই রয়েছে আনজেনগো লাইট হাউস। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এই শহরে আরও এমন জায়গা রয়েছে, যা সহজেই ঘুরে দেখা যায়। সংস্কৃতি ও শিল্পে সমৃদ্ধ এই শহর। এই শহরে রয়েছে ২০০ বছরের পুরনো জনার্ধন স্বামী মন্দির। এই মন্দিরের স্থাপত্য দেখার মতো। এই মন্দির ভারকালা সমুদ্র সৈকতের খুব কাছেই।
ভারকালার নিকটতম বিমানবন্দর হল তিরুঅনন্তপুরম। শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই বিমানবন্দর। ট্রেনে গেলে আপনাকে নামতে হবে ভারকালা-সিভাগিরি। ত্রিবান্দ্রমের মতো শহরে যেতে গেলেও ভারকালা স্টেশনে নামতে হয়। এছাড়া কোচিন, তিরুঅনন্তপুরম ইত্যাদি জায়গা থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন ভারকালা যাওয়ার।