ল্যাব থেকে উধাও মারাত্মক ভাইরাসের স্যাম্পেল, কী হবে এবার?
ওয়েব ডেস্ক : মারণ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আজও ভোলেনি বিশ্ব। এরই মধ্যে আতঙ্কের সেই স্মৃতি ফেরাতে অস্ট্রেলিয়ার একটি ল্যাবরেটরি থেকে উধাও শতাধিক মারাত্মক ভাইরাসের নমুনা। সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানাল কুইন্সল্যান্ড সরকার।
অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন মিডিয়া বিবৃতি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার সরকার কুইন্স হেলথ জনস্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাকে ‘বায়োসিকিউরিটি প্রোটোকলের বড় ঐতিহাসিক লঙ্ঘন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে দেশের সরকার।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের আগস্টে কুইন্সল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকে হেন্দ্রা ভাইরাস, লাইসাভাইরাস এবং হান্টাভাইরাস সহ একাধিক সংক্রামক ভাইরাসের প্রায় ৩২৩টি শিশি নিখোঁজ হয়েছিল। হেন্দ্রা একটি জুনোটিক (প্রাণী থেকে মানুষ) ভাইরাস যা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, নিখোঁজ প্রজাতিগুলির মধ্যে হান্টা ভাইরাসের একটি প্রজাতি কোনও কারণে ছড়িয়ে পড়লে তা অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে লাইসাভাইরাস ভাইরাসের একটি প্রজাতি অদূর ভবিষ্যতে জলাতঙ্কের কারণও হয়ে পারে। জানা গিয়েছে, যে ল্যাব থেকে নমুনাগুলি নিখোঁজ হয়েছে সেখানে ভাইরাস এবং মশা এবং টিক-বাহিত রোগজীবাণুগুলির চিকিৎসা সংক্রান্ত গুরুত্বের জন্য ডায়াগনস্টিক পরিষেবা, নজরদারি এবং গবেষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ সংক্রামক নমুনাগুলি চুরি বা ধ্বংস করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবং ‘সাধারণ মানুষের ঝুঁকির কোন প্রমাণ নেই।’ অস্ট্রেলিয়ার সরকার আপাতত বিষয়টি নিয়ে নবম পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিমোথি নিকোলাস জানিয়েছেন, বায়োসিকিউরিটি প্রোটোকলের এত গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংক্রামক ভাইরাসের নমুনাগুলি সম্ভাব্যভাবে অনুপস্থিত হওয়ার কারণে, কুইন্সল্যান্ড হেলথকে অবশ্যই কী ঘটেছে এবং কীভাবে এটি আবার ঘটতে বাধা দেওয়া যায় তা তদন্ত করতে হবে। নবম দফায় তদন্ত নিশ্চিত করবে ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে কিছুই উপেক্ষা করা হয়নি এবং পরীক্ষাগারে আজ চালু থাকা বর্তমান নীতি ও পদ্ধতিগুলি পরীক্ষা করা হবে। তদন্তটি নিয়ন্ত্রক সম্মতি এবং কর্মীদের আচরণও বিবেচনা করবে।’