Vastu Tips | সকালে ঘুম থেকে উঠে করুন এই কাজ, ঘরে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি
সৌভাগ্য জীবনে কখন আসবে, তার অপেক্ষা আমরা সবাই করি। কারণ সৌভাগ্য একবার জীবনে ধরা দিলে আমাদের জীবন বদলে যায়। সব কাজেই তখন সাফল্য লাভ করা যায়। কিন্তু সমস্যা হল নিজেদের কয়েকটি ভুল কাজের জন্য নিজেরাই আমরা দুর্ভাগ্য ডেকে আনি। শাস্ত্র অনুযায়ী, ভালো কাজের জন্য ভালো ফল পাওয়া যায় এবং খারাপ কাজের জন্য খারাপ ফল পাওয়া যায়। তবে, বাস্তুতে দোষ থাকলে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন। শত পরিশ্রমেও ঘরে টাকা আসে না। হিন্দুশাস্ত্র দেবী লক্ষ্মী বাড়ির সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন। তিনি ধনসম্পদ দেন। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট রাখলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘরের প্রধান দরজায় কয়েকটি প্রতিকার করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কি করবেন?
ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি প্রধান দরজাটিও পরিষ্কার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান দরজা অপরিচ্ছন্ন থাকলে ঘরে আসে নেতিবাচক শক্তি। কলহ ও সংকট বাড়ে। তাই ঘরের প্রধান দরজায় জল ঢেলে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ঘরে প্রবেশ করেন মা লক্ষ্মী। ইতিবাচক শক্তি ঘরে থাকে।
দরজার দুই পাশে স্বস্তিকা তৈরি- হিন্দু ধর্মে স্বস্তিক প্রতীক অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যে কোনও বিয়ে, পুজো বা উৎসবে মূল দরজার দুই পাশে স্বস্তিক তৈরি করা হয়। বাস্তুমতে, স্বস্তিক তৈরি করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। প্রধান দরজায় লাল সিঁদুর বা হলুদ দিয়ে তৈরি স্বস্তিক প্রতীক অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করে। লক্ষ্মীলাভের জন্য ঘরের প্রধান দরজার দুপাশে এঁকে দিন স্বস্তিক প্রতীক।
মালা দিয়ে আলপনা- বিভিন্ন উৎসবে, লক্ষ্মীপুজোয় খড়ি দিয়ে আলপনা আঁকা হয়। উত্তরভারতে রঙ্গোলি তৈরি করেন অনেকে। বাস্তু দোষ কাটাতে এবং সৌভাগ্য আনতে প্রতিদিন গুঁড়ো আটা দিয়ে বাড়ির প্রধান দরজায় মা লক্ষ্মীর চরণের আকৃতি তৈরি করুন। এটা করলে মা লক্ষ্মী বাড়িতে প্রবেশ করেন। এটি মা লক্ষ্মীকে স্বাগত বার্তা বলে মনে করা হয়। ঘরে থাকে সুখ-সমৃদ্ধি।
প্রধান দরজায় প্রদীপ- প্রতিদিন সকালে স্নান করে পুজো করার পাশাপাশি মূল দরজায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। বেশিরভাগ মানুষ সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালান। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দিনের দিনের প্রথম ও শেষে অর্থাৎ সকাল ও সন্ধ্যায় পুজোর সময় প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। সেই বাড়িতেই থাকেন।