পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন এই সব পাহাড় গ্রামে, হবে না পকেটের চিন্তা
কলকাতা: কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যখনই হোক না কেন একটু ছুটি পেলেই হল। ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। আর সামনেই দুর্গা পুজো। পুজো মানেই লম্বা ছুটি। যেহেতু পুজোর সময় তাই পকেটের কথাও ভাবতে হবে। চিন্তা নেই, আপনাদের এমন কয়েকটি জায়গার (Destination) সন্ধান দেব, যেখানে পুজোর ছুটিটাও নিরিবিলিতে পাহাড়ের কোলে কাটাতে পারবেন অন্যদিকে আপনার বাজেটেও টান পড়বে না।
তিমবুরে- উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন তিমবুরে। শ্রীখোলা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তবে নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যায় এই জায়গায়। ৬,৫৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রামে মূলত বাস নেপালিদের। নেপালি জনজীবনে কাছ থেকে দেখতে হলে দুদিন কাটিয়ে আসতে হবে তিমবুরে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শ্রীখোলা নদী। তিমবুরে রাত কাটানোর জন্যও রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে এবং লজ।
তিনচুলে- পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ তিনচুলে। ৬,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থায় তিনচুলে দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তিনচুলের মূল আকর্ষণ হল অর্কিডের বাগান। এছাড়াও এই পাহাড়ি গ্রাম ঘেরা সবুজ চা বাগানে। তিনচুলেকে ঘিরে রয়েছে ছয়টি চা বাগান। এছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন মনেস্ট্রি। তিনচুলেতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে পেয়ে যাবেন।
চারখোল- রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। চারদিক খোলা চারখোলে মূলত বাস লেপচাদের। প্রায় ৩,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চারখোলকে ঘিরে রয়েছে পাইন, সাইপ্রাস, ওক, শাক, গুরাস। আর এখান থেকে দেখা মেলে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার। নিউ জলপাইগুড়ি-সেবক-বাগরাকোট হয়ে চারখোল পৌঁছাতে গেলে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম কররে হবে। আর কালিম্পং থেকে চারখোলের দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিলোমিটার। চারখোলে রাত কাটানোর জন্য এখানে অনেকগুলোই রিসর্ট, হোমস্টে রয়েছে।
রিকিসুম- প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটা সেরা জায়গা। রঙিন ফুলের মেলা আর পাইনে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ রিকিসুম। প্রায় ৬,৩০০ ফুট উচ্চতায় এই নিঝুমপুরে হিমেল হাওয়া আর মেঘেদের আনাগোনা লেগে থাকে। রিকিসুমে দাঁড়িয়ে ভুটান, তিব্বত, সিকিম, দার্জিলিং এবং নেপালের হিমালয়ের নামী-অনামী শৃঙ্গের প্যানোরমিক ভিউ দেখা যায়। এমন জায়গা থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার মতোই। আর হিমালয়ের পাখিদের যাতায়াত তো লেগেই রয়েছে এই রিকিসুমে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং, আলগাড়া হয়ে আপনাকে রিকিসুম পৌঁছাতে হবে। দূরত্ব পায় ৮৮ কিলোমিটার। রিকিসুমে থাকার জায়গা বলতে হাতেগোনা কয়েকটা হোমস্টে। তাই আগে থেকে বুকিং করে গেলে সুবিধা হবে।