Bungkulung | সবুজে মোড়া ছোট পাহাড়ি এই গ্রাম মিরিকের কৃষি হাব
গরমের মধ্যে শহর থেকে দূরে দুদিন ছুটি কাটাতে চান তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন বানকুলুং (Bungkulung)। ছোট্ট উইকএন্ডেই ঘুরে নিতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রাম। মিরিকের খুব কাছেই অবস্থিত বানকুলুং। আসলে মিরিকের বাসিন্দারা বানকুলুংকে ব্যবহার করে চাষ জমি হিসেবে। মিরিকের (Mirik) থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় বানকুলুং-এ।
মিরিক থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বানকুলুং। শিলিগুড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার গেলেই এক অপরূপ সুন্দর গ্রামের দেখা পাবেন৷ যা ক্লান্তি দূর করে মন ভাল করে দেবেই৷ এই গ্রাম থেকে যেদিকেই তাকাবেন ঘনজঙ্গলে মোড়া সবুজ পাহাড় চোখে পড়বে।
এই গ্রামটি ছবির মতো সুন্দর। চোখ জুড়িয়ে দেওয়া ধান আর দারচিনির খেত। এখানে দুটি নদী আছে। বালাসুন আর মারমা খোলা। যেহেতু গ্রামটি খুব ছোট, তাই পায়ে হেঁটেই পুরোটা ঘুরে নেওয়া যায়। হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতে পারেন বালাসুন নদীর কাছে। গ্রামের শেষ বাড়িটি পার করলেই রয়েছে মারমা চা বাগান। এখানেও বেশ খানিকটা সময় কাটানো যায়। কাছেই মারমা নদীও আছে। প্রচুর পাখির ডাক আর সবুজের গালিচা, এই দুটোই কিন্তু এখানে আপনি ভরপুর পাবেন।
শহরে কোলাহলে যা প্রায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে৷ যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি ছুটি কাটাতে চান তাঁরা এই গরমে ঘুরে যেতে পারেন বানকুলুং থেকে। গ্রামের শেষ প্রান্তেই রয়েছে মুরমাহ চা বাগান। তার আরেকটু দূরে রয়েছে গয়াবাড়ির চা বাগান। হাতে সময় থাকলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন দুধিয়াও। আর কাছেই রয়েছে একটি মঠ। সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন। ছবির মতো গ্রামটি ঘেরা ১৯টি পুকুরে৷ সেখানে মাছের চাষও হয়৷
বছরের যে কোনও সময়ই এই এক টুকরো ভূস্বর্গে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা৷ তবে বর্ষাকালে এখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়৷ তবে, বর্ষায় বালাসন ও মুরমাহ ঘেরা বানকুলুংয়ের অন্যরূপ দেখা যায়। বানকুলুংয়ে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টেও পেয়ে যাবেন। অ্যাডভেঞ্চারের ইচ্ছা হলে তাঁবুতেও রাত কাটাতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি৷ সেখান থেকে গাড়ি বুক করে শিলিগুড়ি-মিরিক হাইওয়ে ধরে ৪৮ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন বুংকুলুং৷ নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেও বুংকুলুং যাওয়া যেতে পারে৷ সময় লাগবে ঘণ্টা দেড়েক৷