Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

চারদিনের রাস্তা পেরোতে ৪০ দিন লাগাচ্ছে চন্দ্রযান-৩! জানেন কেন? 

Updated : 3 Aug, 2023 11:07 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Soumi Ghosh
Edit: Silpika Chatterjee

শ্রীহরিকোটা: পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। কিন্তু চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে চন্দ্রযানের-৩-এর আরও ৪০ দিন লাগবে। অথচ নাসার (NASA) অ্যাপোলো-১১ (Apollo-11) সহ এর আগের সমস্ত চন্দ্রাভিযানে চাঁদে পৌঁছতে চারদিন লেগেছিল। তাহলে ইসরোর মিশনে এত সময় লাগছে কেন, এই প্রশ্ন উঠছেই। 

এর উত্তর নিহিত রয়েছে ইসরোর বেছে নেওয়া মহাকাশযানের গতিপথ এবং লঞ্চ ভেহিকলের সীমাবদ্ধতায়। অ্যাপোলো-১১ সহ সবক’টি অ্যাপোলো মিশনে সরাসরি গতিপথ ব্যবহার করেছিল যাকে মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘ট্রান্সলুনার ইনজেকশন’ (Translunar Injection)। শক্তিশালী স্যাটার্ন ৫ (Saturn-5) মহাকাশযান অ্যাপোলো এয়ারক্রাফটদের পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল এবং সেখান থেকে একটি ইঞ্জিনের জ্বলনের সাহায্যে তাকে সরাসরি চাঁদের অভিমুখে পৌঁছে দেয়। এই উপায়ে কয়েকদিনেই চাঁদে পৌঁছে যায় নাসার যান।     

কিন্তু চন্দ্রযান-৩-এর গতিপথ অন্যরকম। ইসরোর জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ স্যাটার্ন-৫-এর মতো শক্তিশালী নয়, তার পেলোড ক্ষমতাও কম। সেই সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বুঝেই চন্দ্রযান-৩-কে ক্রমান্বয়িক গতিপথে ছাড়া হয়। প্রথমে পৃথিবীকে একাধিকবার প্রদক্ষিণ করে এবং একাধিক ইঞ্জিনের জ্বলনের সাহায্যে তার গতিবেগ বাড়ানো হয় এবং চাঁদের অভিমুখে পাঠানো হয়। এই পদ্ধতিতে লঞ্চ ভেহিকল কম শক্তিশালী হলেও ক্ষতি নেই। 

পৃথিবীর মায়া কাটানোর এই পর্যায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এই জায়গাকে বলা হয় লুনার ট্রান্সফার ট্রাজেকটরি (Lunar Transfer Trajectory)। প্রথম দিকে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের কক্ষপথে উপবৃত্তাকারে ঘুরবে চন্দ্রযান-৩। তার প্রোপালশন প্রযুক্তির সাহায্যে ক্রমশ কমিয়ে আনা হবে চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে তার দূরত্ব। সেই সঙ্গে কমে যাবে তার গতিও। এরপর চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি দূরতে চন্দ্রযান-৩-এর কক্ষপথ হয়ে যাবে বৃত্তাকার। 

এরপর প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার এবং তা চাঁদের মাটির দিকে এগিয়ে যাবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয় তবে এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করবে ইসরো। এই প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফট ল্যান্ডিং করবে কোনও মহাকাশযান। এই মিশনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য চাঁদের মাটি পরীক্ষা করা, তার খনিজ সম্পর্কে গবেষণা করা এবং জলীয় বরফের খোঁজ করা।