কাশ্মীরি জঙ্গি ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী পাক তদারকি সরকারে
ইসলামাবাদ: দিল্লির তিহার জেলে বন্দি কুখ্যাত জঙ্গি ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী পাকিস্তানের নতুন তদারকি সরকারে মন্ত্রী পদমর্যাদায় স্থান পেলেন। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে পর্যন্ত ‘নিরপেক্ষ’ নবগঠিত তদারকি সরকার শপথ নিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। সেই সরকারে তদারকি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক ককর-এর মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের কুখ্যাত জেলবন্দি ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মিশাল হুসেন মল্লিককে। তাঁকে মানবাধিকার এবং নারী স্বশক্তিকরণ বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রমন্ত্রী মর্যাদার পদ।
ভারতে এনআইএ-র বিশেষ আদালত ইয়াসিন মালিককে ২০২২ সালের ২৫ মে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ করার দায়ে তার সাজা হয়। মালিক এখন দিল্লির তিহার জেলে সাজা কাটছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে ইসলামাবাদে ইয়াসিন ও মিশালের বিয়ে হয়। সেই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের তাবড় তাবড় নেতারা আমন্ত্রিত ছিলেন।
২০১৯ সালে জেকেএলএফ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বছরের ১৫ জুলাই কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা পিডিপি-র নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বোন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের ছোট মেয়ে রুবাইয়া সইদ ইয়াসিন মালিককে শনাক্ত করেছিলেন। ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রুবাইয়াকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, রক্তপাত, কট্টরপন্থীদের হুমকি ও সর্বোপরি অর্থনৈতিকভাবে জরাজীর্ণ পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তার জন্য ১৮ সদস্যের একটি তদারকি সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা গতকাল শপথ নেন। প্রাক্তন বিদেশ সচিব জালিল আব্বাসকে অস্থায়ী বিদেশমন্ত্রী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কথায় আছে যে সেনাবাহিনী পরোক্ষে পাক সরকারকে পরিচালিত করে, সেই বাহিনীরই প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার আলি হায়দরকে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একমাত্র মহিলা শামশাদ আখতারকে।